বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার এক শোকবাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘আমি শোকার্ত ও বেদনাহত চিত্তে আ স ম হান্নান শাহকে চিরবিদায় জানাচ্ছি। ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান’ এবং আমার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহকর্মী ও সহযোদ্ধা আ স ম হান্নান শাহর ইন্তেকালের দুঃসংবাদ আমার কাছে অকল্পনীয় ও বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। হান্নান শাহ দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসবেন এমন প্রার্থনার মধ্যেই তাঁর মৃত্যুসংবাদ এসেছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, এ বেদনা ও শোকের পরিমাপ নেই।
বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশ-জাতির প্রতিটি প্রয়োজনের মুহূর্তে তিনি অসম সাহস ও দেশপ্রেমে দীপ্ত হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আজীবন তিনি যোদ্ধা সেনানায়কের ভূমিকাই পালন করে গেছেন। জাতীয় জীবনে বর্তমান ক্রান্তির সময়ে তাঁকে যখন খুব দরকার, সে সময় তিনি চিরতরে চলে গেলেন। হান্নান শাহর মৃত্যুতে শুধুই বিএনপিই নয়, বরং জাতি এক সাহসী সন্তানকে হারাল বলে উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।’
শোকবাণীতে বলা হয়, ‘স্বৈরাচারবিরোধী নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের একজন অগ্রবর্তী সংগঠক হিসেবে, মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীনের অবৈধ সরকারবিরোধী সংগ্রাম সূচনাকারী একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠ হিসেবে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে মরহুম হান্নান শাহ আমাদের অনেক স্মৃতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। তাঁর ভূমিকা ও অবদান ইতিহাসে চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।’
হান্নান শাহর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন খালেদা জিয়া। সেইসঙ্গে তাঁর শোকাহত স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি। দলের এই জ্যেষ্ঠ নেতার মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিণত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নেতাদের শোক
দলের দীর্ঘদিনের সহকর্মী হান্নান শাহর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মইন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সহসভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব -উন-নবী সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু এক যুক্ত বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন।