ভারতের জয়পুরে এক সমকামিতা নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। সেখানে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী গুঞ্জন শর্মা অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সমকামি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাদের এ সম্পর্ক স্থায়ী হয় ৩ বছর। যে মেয়েটির সঙ্গে সে এ সম্পর্ক গড়ে তার বয়স প্রকাশ করা হয় নি। গুঞ্জন শর্মা এখন জীবনের বাকিটা সময় তাকে নিয়েই কাটিয়ে দিতে চান। কিন্তু তাতে বাধ সেধেছে তার ‘প্রেমিকা’র পিতামাতা। গুঞ্জন শর্মা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়ে বলেছেন, তিনি গোসল করার সময়কার কিছু ভিডিও ক্লিপ ধারণ করেছেন তার ‘প্রেমিকা’র পিতা। সেই ভিডিও ক্লিপ দিয়ে তিনি তাকে ব্লাকমেইল করতে চাইছেন। এ নিয়ে দেন দরবার চলছে থানায়। পুলিশ দু’ পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু তাতে বেধেছে নতুন বিপত্তি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, জয়পুরের জোটওয়ারা পুলিশ স্টেশনে বৃহস্পতিবার গুঞ্জন শর্মা তার প্রেমিকার পিতার বিরুদ্ধে তাকে ব্লাকমেইল ও তার মর্যাদাহানীর একটি অভিযোগ এনেছেন। এতে তিনি একই সঙ্গে তার প্রেমিকার সঙ্গে জীবনের বাকিটা সময় কাটানোর আকুতি জানিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে পুলিশ তাকে সহায়তা করছে না বলেও তার অভিযোগ। অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছেন তিনি। তাদের মধ্যে তিন বছর ধরে সম্পর্ক বিদ্যমান। এ বিষয়টি বুঝতে পেরে তার প্রেমিকার পিতা ওই কা- ঘটিয়ে বসেন। রোববার জোটওয়ারা পুলিশ স্টেশনের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, অভিযোগকারী গুঞ্জন শর্মা তার প্রেমিকার পিতামাতার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছেন, যাতে তারা তাদের মেয়েকে তার সঙ্গে সমকামি দাম্পত্য কাটাতে অনুমতি দেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, জুনে এই অভিযোগকারী আমাদের কাছে আসেন। তিনি তার সমকামি সম্পর্কের কথা সবিস্তারে আমাদেরকে জানান। এখন তার যে কথিত প্রেমিকা তিনি প্রাপ্ত বয়স্কা অথবা শিগগিরই প্রাপ্ত বয়স্কা যুবতীতে পরিণত হবেন। কিন্তু তিনি গুঞ্জন শর্মার সঙ্গে সমকামি সম্পর্কের মাধ্যমে এক সঙ্গে থাকতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন। এ নিয়ে আমরা যখনই তাকে পরামর্শ দিতে যাচ্ছি তখনই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। হাতের রগ কেটে ফেলছেন। থানার ভিতর যাচ্ছেতাই কা- ঘটাচ্ছেন। এতে এক বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। তাই শান্তি নষ্ট করার অভিযোগে তাকে আমরা অভিযুক্ত করেছি। ওই পুলিশ স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর হেমলতা শর্মা বলেছেন, গত জুনে কথিত এই সমকামি সম্পর্ক ভেঙে যায়। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি। ওদিকে গুঞ্জন শর্মা ও তার কথিত প্রেমিকার পরিবারকে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য থানায় একসঙ্গে বসিয়েছিল পুলিশ। সেখানে তার কথিত প্রেমিকা গুঞ্জন শর্মার সঙ্গে বসবাস করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এরপরই গুঞ্জন শর্মা তার পিতামাতার বিরুদ্ধে, বিশেষ করে পিতার বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ আনেন। এ অবস্থায় ওই পুলিশ স্টেশনের হাউজ অফিসার গুরু ভুপেন্দ্র সিং বলেছেন, তারপরও আমরা সুষ্ঠু সমাধানের জন্য দু’পক্ষের অভিভাবকদের ডাকবো। একই সঙ্গে আনীত অভিযোগ তদন্ত করবো।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |