গণসংবর্ধনা দিতে চায় বিএনপিও জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি । তবে এ ক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে দলটির। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু জানান, প্রধানমন্ত্রী যদি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দেন, তবে তিনি দেশে ফেরার পর বিএনপিও তাকে অভিনন্দন জানাতে সড়কে নামবে।
সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনায় এ কথা বলেন দুদু। সাংবাদিক আতাউস সামাদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়া শেষে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন তাকে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সংবর্ধনা দেয়ার কর্মসূচি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।
বিএনপি নেতা দুদু বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী)অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমরাও আপনাকে সংবর্ধনা দিতে চাই। আর একটি কাজ করুন দেশে এসে জনগণের মতামত নিয়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘোষণা দিন।’
দুদু বলেন,‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছাড়া দেশের চলমান সংকট নিরসন সম্ভব নয়। আমরা সংঘাত হানাহানি চাই না, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের চলমান গণতন্ত্রের সংকট কেটে যাবে।’
একই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘অনেক ভালো কাজ করেছেন, আর একটি কাজ করুন। প্লিজ হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিন। প্রধানমন্ত্রীর এই মুহূর্তে একটি কাজ বাকি, আর সেটা হলো দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেওয়া। প্লিজ প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দিন। আপনি জনগণের মনে অনেক দিন বেঁচে থাকবেন।’
নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠন প্রসঙ্গে এমাজউদ্দিন বলেন, গতবারের মতো সার্চ কমিটি গঠন করার কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারের অনুগত কিছু লোককে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবে সেটি হতে পারে না। সার্চ কমিটি গঠন করতে হলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমত উল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।