নগরীর বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী স্কুলের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলে পূর্বের নিয়ম বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ।
রোববার(২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর পৌন ২ টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন স্কুলের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।তারা ৬ বিষয়ে সৃজনশীল নিয়মে পরীক্ষা দেওয়ার দাবি জানান,অন্যথায় শিক্ষা মন্ত্রণাালয় ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
নগরীর কাজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফজলে রব্বি তায়িফ বলেন,শিক্ষামন্ত্রীর অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের শিকার আমরা কেন হবো? তায়িফ আরো বলেন,গত বছর ছয় বিষয়ে সৃজনশীল করার আইন করে।হঠাৎ করে গত সপ্তাহে সাত বিষয়ে সৃজনশীল লিখার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়ার আদেশ দেয়া হয়।
সে আরো জানান,অক্টোবর থেকে নির্বাচনী পরীক্ষা হওয়ার কথা। মানিবক বিভাগে ছয়টি বিষয়ে সৃজনশীল ছিল এবং বিজ্ঞান বিভাগে চারটি বিষয়ে ছিল। এখন বিজ্ঞান বিভাগে পাঁচটি এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সাতটি বিষয়ে সৃজনশীল করেছে। আমাদের কোন প্রস্তুতি ছিল না।
রাফসি চৌধুরী নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন,আমাাদের সাতটি বিষয়ে সৃজনশীল বন্ধ করে ছয়টি বিষয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার দাাবিতে আমরা নগরীর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়,নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,ডা.খাস্তগীর উচ্চ বিদ্যালয়,চট্টগ্রাম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করছি।
মানববন্ধন ও সমাবেশে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি সংহতি জানিয়ে সমাবেশে বলেন,ছাত্রলীগ সকল শিক্ষা আন্দোলনের সাথে আছে,ভবিষ্যতেও থাকবে। শিক্ষামন্ত্রী হঠাৎ ছয়টি থেকে সাতটি বিষয়ে সৃজনশীল করার কারণে ছাত্র সমাজ এই আন্দোলন করছে।
ছাত্ররা ছয় বিষয়ে সৃজনশীল দিয়েছে প্রথম সাময়িক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়েছে।হঠাৎ সাত বিষয়ে সৃজনশীল নিয়ম করে ছাত্রদের উপর চাপ প্রয়োগ করার কারণ কি তা তিনি জানতে চান।
ছাত্রলীগ বিগত দিনে ছাত্রদের দাবি নিয়ে আন্দোলনে যেমন ছিল,বর্তমানে আছে, ভবিষ্যতেও থাকেব।সাত বিষয়ে সৃজনশীল বন্ধের প্রতিবাদকে নগর ছাত্রলীগ সমর্থন করেছে বলেও জানান তিনি।