চট্টগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশ আজ হুমকির সম্মুখীন। বাংলাদেশের বিশাল একটি অংশ সমুদ্র উপকূলবর্তী। যারা উপকূলীয় এলাকায় বসবাস করে তারা সবসময় বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, একশন এইড বাংলাদেশ, কেয়ার বাংলাদেশ, আইসিসিসিএডি এবং ন্যাকম এর যৌথ উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয় ও ক্ষতি নিরূপন এবং মোকাবেলা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জলবায়ু উত্তপ্তের কারণে সমুদ্রের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে যে কোনো মুহূর্তে দুর্যোগে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। পলি গঠিত দেশ হিসেবে সমুদ্র উপকূলবর্তী বিশাল এলাকাজুড়ে সমুদ্রের লবণ পানি প্রবেশ করে খাদ্যশস্য, ফসল ও গাছ-পালার ব্যাপক ক্ষতি হয়ে কৃষি জমি সাগরে বিলীন হয়ে যায়। এতে করে পরিবেশ ভারসাম্য হারায়। তাই মোকাবেলা শুধু দুর্যোগ আসার পরে- এটাতে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়, দুর্যোগ আসার আগেই মোকাবেলা করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনকে আমরা কতটুকু প্রতিহত করতে পারি সেদিকে নজর রাখতে হবে। সর্বোপরি যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল এনজিও সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হবে। জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওগণ দুর্যোগের যে কোনো ঝুঁকি মোকাবেলায় সমন্বয়ভাবে কাজ করবে। দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সমাবেশসহ ক্যাম্পেইনের উপর গুরুত্বারোপ করেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক হিসেবে চট্টগ্রামে যোগদান করার প্রথম কর্মদিবসে তিনি কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও করণীয় বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. অনুপম সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয় ও ক্ষতি মোকাবেলায় একটি জাতীয় ব্যবস্থাপনার প্রস্তাবনা মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেন কেয়ার বাংলাদেশ’র প্রতিনিধি জেসমিন বি. হোসেন ও একশন এইডের প্রতিনিধি তানজির হোসন।
এ সময় দুর্যোগ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মো. খোরশেদ আলম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শো. শাহ আলমগীর, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মো. আবু চাহেল তস্তরী, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় প্রমুখ।