আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা মহানগরীর নূরনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাতে সোনাডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয়। সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের বাগেরহাট শাখার জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খলিফাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খলিফার নামে সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তিনিসহ সোনালী ব্যাংক বাগেরহাট শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক মজিবুর রহমানও আসামি। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন লোকের নামে ভুয়া ঋণ দেখিয়ে এই টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠলে দুদক তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তকালে যাঁদের নামে ঋণ নেওয়া হয় তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা ঋণ গ্রহণের বিষয়ে কিছুই জানেন না। এরপর এ ঘটনায় মামলা দায়েরসহ তদন্ত শুরু হয়।
এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন খলিফাসহ অন্যরা পরস্পর যোগসাজশে ১৫০ জন গ্রাহকের এসওডি (সঞ্চয়ী আমানত) হিসাবের বিপরীতে ঋণ দেখিয়ে স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে চার কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার ৪৪৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর বাগেরহাট থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
একই ঘটনায় এর আগে গত ১২ আগস্ট দুদক সোনালী ব্যাংকের বাগেরহাট শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক এবং খুলনা জিএম অফিসের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
সোনালী ব্যাংকের খুলনা জোনের মহাব্যবস্থাপক পরিতোষ কুমার তরুয়া ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ব্যাংক আগেই মামলা দায়ের করেছিল, যে মামলা দুদক তদন্ত করছে।