আগামী বছরের জুন মাস নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।ভৈরবে মেঘনা নদীর ওপর নির্মীয়মাণ দ্বিতীয় রেলসেতুর কাজ নির্ধারিত সময় ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে না।
২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শুরু হওয়া এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না বলে প্রকল্পের কাজের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ৫৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ের দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুর নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। সেতুর নির্মাণকাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদার ইরকোন ও এফকোন কোম্পানি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভৈরব ও আশুগঞ্জের মধ্যে মেঘনা নদীর ওপর রেলসেতুটির ১২টি পিলারের (নদীতে ৮টি এবং ভৈরব ও আশুগঞ্জ পাড়ে চারটি) কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর গার্ডার স্থাপন করা হয়েছে আশুগঞ্জ পাড়ে তিনটি ও ভৈরব পাড়ে দুটি। আরও ৪টি গার্ডার স্থাপনের কাজ বাকি। গার্ডার স্থাপন সম্পন্ন হলে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হবে।
৯৮৪ মিটার দীর্ঘ ও ৭ মিটার প্রস্থের এই সেতুতে ডুয়েল গেজ ও ব্রডগেজ দুই ধরনের লাইন থাকবে। ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ সরকার নির্মিত পুরনো রেলসেতুতে শুধু ব্রডগেজ লাইন রয়েছে।
ভৈরবের দ্বিতীয় মেঘনা রেলসেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল শুরু হলে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, চাদঁপুর রেলপথে যাতায়াতে সময় কম লাগবে বলে সূত্রে জানা গেছে।
সেতুর প্রকল্প পরিচালক আবদুল হাই জানান, নানা কারণে সেতুর নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। তবে আগামী জুন মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।