মরোক্কোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রাচীন নগরী ফেজের পুরনো এলাকা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন গ্রন্থাগার অবস্থিত। খিজানাত আল-কারায়িইন নামের এই গ্রন্থাগারে অনেক মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ পাণ্ডুলিপি সুরক্ষিত।
বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো গ্রন্থাগারটি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মরক্কোর সরকার। এই গ্রন্থাগারে রয়েছে উটের চামড়ায় লেখা কোরআন।
এ পাঠাগারের সবচেয়ে দামি বইগুলোর মধ্যে হচ্চে নবম শতাব্দীতে লেখা এই কোরআন। এ ছাড়াও রয়েছে প্রাচীন কোরআনসহ চার হাজারেরও বেশি দুর্লভ পুস্তক ও পাণ্ডুলিপি রয়েছে।
নবম শতাব্দীতে ফাতিমা আল ফিহরি নামে এক নারী এ গ্রন্থাগারটি স্থাপন করেন। তিউনিসিয়ার কাইরুয়ান অঞ্চল থেকে ফেজ শহরে আসা এক ধনী ব্যবসায়ীর মেয়ে ছিলেন ফাতিমা। সে সময় একই সাথে কারায়িইন গ্রন্থাগার, কারায়িইন মসজিদ ও কারায়িইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
শুরুতে গ্রন্থাগারের প্রবেশমুখে ছিল লোহার ভারী দরজা। দরজার গায়ে চারটি প্রাচীন ও অত্যন্ত মজবুত তালা, যার প্রত্যেকটি তালার চাবি থাকত আলাদা চার ব্যক্তির কাছে। দরজা খোলার সময় তাদের চারজনকে একসাথে উপস্থিত থাকতে হতো। দরজার পাশ দিয়ে একটি লম্বা করিডোর। এ করিডোরটি দিয়ে যাওয়া যেত পাশের কারায়িইন মসজিদে। এ দু’টি প্রতিষ্ঠান ছিল প্রাচীন ফেজ নগরীর শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র।
চলতি বছরই গ্রন্থাগারের মূল্যবান সামগ্রীগুলো নিয়ে একটি প্রদর্শনী করার কথাও ভাবছে কর্তৃপক্ষ। দ্য গার্ডিয়ান