বৃটেনের ক্ষমা চাওয়া উচিৎ ফিলিস্তিনে ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সমর্থন দিয়ে ১৯১৭ সালের একটি ঘোষণার জন্য । পাশাপাশি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ। বৃহ¯পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে এ মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, বেলফোর ঘোষণাপত্র নামে ওই ঘোষণার কারণে ফিলিস্তিনি মানুষ ভুগেছে বলে মন্তব্য করেন আব্বাস। ওই ঘোষণাপত্রে বৃটেন ইহুদী জনগণের জন্য ফিলিস্তিনে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন দেয়। তবে বিবৃতিতে এ-ও বলা হয়েছিল, ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের অধিকার যাতে খর্ব না হয়।
আব্বাস বলেন, ‘সেই কুখ্যাত বেলফোর ঘোষণার ১০০ বছরে যখন আমরা পদার্পন করছি, তখন আমরা গ্রেট বৃটেনকে আহ্বান জানাচ্ছি এ ঘোষণার ঐতিহাসিক, আইনি, রাজনৈতিক, বস্তুগত ও নৈতিক দায় বহন করতে। এর মধ্যে থাকতে পারে ওই ঘোষণাপত্র যে বিপর্যয়, অন্যায় ও দুর্দশা সৃষ্টি করেছে তার জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া। পাশাপাশি ওই বিপর্যয়ের ক্ষত রোধে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া সহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া। একেবারে কম করে হলেও এটুকু বৃটেনের করণীয়।’ এ মন্তব্যের ব্যাপারে কোন তাৎক্ষণিক মন্তব্য করেনি জাতিসংঘের বৃটিশ মিশন।
আব্বাসের বক্তব্যে তৎকালীন বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার বেলফোরের নামে ঘোষিত বেলফোর ঘোষণাপত্র ছাড়াও উঠে আসে ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন প্রস্তাবনা, যা ফিলিস্তিনকে দু’টি রাষ্ট্রে বিভক্ত করে এবং ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের প্রসঙ্গও যেটির পরে ইসরাইল পশ্চিম তীর ও গাজা দখলে নেয়।
কিছুক্ষণ পরই অধিবেশনে বক্তব্য দিতে আসেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বেলফোর ঘোষণাপত্রের প্রসঙ্গ তোলায় আব্বাসের সমালোচনা করেন।
এর আগে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালকি আরব সম্মেলনে আব্বাসের পক্ষে একটি বিবৃতি পাঠ করেন। সেখানে তিনি বেলফোর ঘোষণাপত্রের জন্য বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | 2 | 3 | 4 | 5 | ||
6 | 7 | 8 | 9 | 10 | 11 | 12 |
13 | 14 | 15 | 16 | 17 | 18 | 19 |
20 | 21 | 22 | 23 | 24 | 25 | 26 |
27 | 28 | 29 | 30 | 31 |