ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচির ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে হাসপাতালে প্লেট সংকট, তাই রোগীকে খাবার দেয়া হলো মেঝেতে। ঘটনাটি । এটি রাঁচির সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ভারতের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে গরীব মানুষদের পরিষেবা দেওয়া নিয়ে নানা বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতের সরকারি হাসপাতালগুলোতে দরিদ্র মানুষরা কতটা উপেক্ষিত তার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। দেখা গিয়েছে দেশটির অনেক রাজ্যে মৃত্যুর পর অ্যাম্বুলেন্স নেই বলে সরকারি হাসপাতাল থেকে দেহ কাঁধে নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে পরিবারের সদস্যকে। কখনও আবার জ্বরে বাসের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হলে, দেহ মাঝ রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় বাস চালক।
কখনো হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায়, রোগীর মৃত্যুর পর, রোগীর দেহ টুকরো টুকরো করে ভেঙে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। এই বিতর্কের মাঝেই ঝাড়খণ্ডের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতালের এই করুণ ছবি সামনে এল।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, ভূক্তভোগী ঐ রোগীর নাম পালমতী দেবী। যার একটি হাত ভেঙে গিয়েছে। তিনি ওই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার ওয়ার্ড বয় পালমতী দেবীকে হাসপাতালের মেঝেয় ভাত, ডাল, সবজি খেতে দেন। তারআগে ওই রোগীকে হাসপাতালের মেঝে পরিস্কার করারও নির্দেশ দেয় ওই ওয়ার্ড বয়।
অথচ বছরে এই হাসপাতাল সরকারের থেকে ৩০০ কোটি টাকা সাহায্য পায়। এই ঘটনার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতালের ডিরেক্টর বিএল শেরওয়াল। তার দাবি এধরনের ঘটনা সাধারণত সেখানে ঘটে না। কেন এমন ব্যবহার করলেন হাসপাতালের কর্মীরা, সেবিষয় তিনি খবর নেবেন বলে জানিয়েছেন।