আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রাক্কালে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত না করতে বিএনপিসহ সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সব প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করলে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন থাকবে না বলে মনে করেন সরকারি দলের এই মুখপাত্র।
বৃহস্পতিবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আশরাফ এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের অধিবেশন থেকে দেশে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনার প্রস্তুতি হিসেবে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নতুন কমিশনার নিয়োগ দিতে সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এরই মধ্যে ফাইল চালাচালি শুরু হয়েছে। বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ তাদের হাতে পাঁচ মাসের কম সময় বাকি আছে। এই সময়ের আগেই নতুন কমিশনের জন্য কমিশনার নিয়োগে যাচাই-বাছাই শেষ করতে হবে। এ জন্য নাম প্রস্তাব করতে বুধবার সার্চ কমিটি গঠনের কাজ শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আমরা যদি হাইকোর্টকে বিতর্কিত করি, সুপ্রিমকোর্টকে বিতর্কিত করি, নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করি, তাহলে আমরা যাবো কোথায়? আমরা যদি সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করি তাহলে সভ্যতা থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে আশরাফ বলেন, তিনি আর ১০টি বছর ক্ষমতায় থাকতে পারলে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই দেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুরসহ ঢাকার আশপাশের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রতিনিধিরা।