আজ দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হজ পালন শেষে। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আরব আমিরাত হয়ে বিকাল সোয়া ৫টায় তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। অন্যদিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও জিয়া পরিবারের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ তার স্ত্রী, কন্যা এবং ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী আরব আমিরাত পর্যন্ত আসবেন। সেখান থেকে তারা লন্ডন ফিরে যাবেন। চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে দলের চেয়ারপারসনকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা জানানোর প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও অঙ্গদলগুলো। কয়েক দিন আগে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন যেদিন ফিরে আসবেন, সেদিন তাকে যথোপযুক্ত সংবর্ধনা দেয়া হবে। দলীয় সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিপুল জনসমাগমের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কাছে এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের বাইরে গেলে তাকে এগিয়ে দেয়া এবং ফিরলে অভ্যর্থনা জানানোর একটি রেওয়াজ রয়েছে। নেতাকর্মীরা চেয়ারপারসনকে সম্মান জানিয়ে সবসময় এ রেওয়াজ পালন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বিমানবন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের জড়ো হতে দেয় না। এমনকি সিনিয়র নেতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের পর্যন্ত সেখানে জড়ো হতে দেয় না। তারপরও নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, এবারও খিলক্ষেত থেকে বিমানবন্দর স্টেশন পর্যন্ত এলাকায় অবস্থান নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাবেন। দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, বিকাল ৪টার মধ্যেই নেতাকর্মীদের বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগর ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠনের উদ্যোগকে সামনে রেখে ব্যক্তি পর্যায়েও শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন পদপ্রত্যাশী নেতারা। ওদিকে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি বাদশা সউদ বিন আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে রাজকীয় অতিথি হিসেবে গত ৮ই সেপ্টেম্বর সৌদি আরব যান খালেদা জিয়া। একইদিন লন্ডন থেকে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও জিয়া পরিবারের বড় ছেলে তারেক রহমানও সপরিবারে সৌদিআরব পৌঁছেন। বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, তারেক রহমানের কন্যা জায়মা রহমান ও জিয়া পরিবারের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমানের স্ত্রী শর্মিলা রহমানের সঙ্গে জেদ্দায় একত্রিত হন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে তারা একসঙ্গে পবিত্র হজ পালনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। হজ পালনের পর গত শনিবার কাবা শরীফে বিদায়ী তাওয়াফ করেন। তারপর তার মদিনায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর রওজা জিয়ারত করেন। তারা সেখানে দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণে দোয়া করেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯১ সালে ও বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে ১৯৯৭ সালের পর এবার নিয়ে তিনবারের মতো পূর্ণ হজ পালন করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে প্রথমবারের মতো পূর্ণ হজ পালন করেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও জিয়া পরিবারের বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান, মেয়ে জাইমা রহমান ও জিয়া পরিবারের ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। ২০১৪ সালে জিয়া পরিবারের সদস্যরা একত্রে সৌদি বাদশার আমন্ত্রণে ওমরাহ পালন করলেও প্রায় প্রতি বছরই রমজানে ওমরাহ পালন করেন খালেদা জিয়া। এছাড়া এবার তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানু, স্ত্রীর বড় বোন শাহিনা জামান খান বিন্দু, তার স্বামী সৈয়দ শফিউজ্জামানসহ বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন উপদেষ্টা, একান্ত সচিব, আলোকচিত্রী ও গৃহকর্মী কয়েকজন হজ পালন করেছেন।
এদিকে হজ পালন শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনকে সংবর্ধনা দেন সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমেদ আলী মুকিবসহ দলের নেতাকর্মীরা।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |