বৃহস্পতিবার সকালে বিআইডব্লিউ’র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’ডুবে যাওয়া নৌযানটি উদ্ধার করে। বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া নৌযানটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় লঞ্চের ভেতর আরও চারটি শিশুর লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ জনে।
বুধবার বেলা ১২টার দিকে সন্ধ্যা নদীর দাসেরহাট মসজিদ বাড়ি এলাকায় ওই নৌযানটি ডুবে যায়। এ সময় নৌযানটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল বলে জানা যায়। বুধবার রাত পর্যন্ত ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে।
নৌযানটি ডুবে যাওয়ার পর এটিকে লঞ্চডুবির ঘটনা বললেও পরে জানা যায় এটি কোনো লঞ্চ নয়। এমএল ঐশী-২ নামের নৌযানটি অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহনকারী ট্রলার। বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ডুবে যাওয়া নৌযান এমএল ঐশী-২ কেনো ধরনের লঞ্চ নয়। এমএল টাইপের লঞ্চের জন্য নেয়া সার্ভে সনদ, রেজিস্ট্রেশন ও সময়সূচি নেয়ার নিয়ম রয়েছে। এসব বৈধ কোনো কাগজপত্র এমএল ঐশীর নেই। নৌযানটি অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহন করতো। ডুবে যাওয়া নৌযান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।