আদালত খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে বাসে পেট্রলবোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় চার্জ শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর ধার্য করেছে ।
খালেদার সময় আবেদন মঞ্জুর করে রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা নতুন এই তারিখ ধার্য করেন।
এদিন মামলাটিতে জামিনে থাকা খালেদা জিয়া পবিত্র হজের কারণে সৌদি আরব অবস্থান করায় সময় আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
প্রসঙ্গত, একই ঘটনায় হত্যা এবং বিস্ফোরক আইনের দুইটি চার্জশিটেও খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জন আসামি। ওই মামলা দুইটি অন্য আদালতে বিচারাধীন আছে।
মামলাটিতে গত ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি (হত্যা) এবং বিস্ফোরক আইনে দুটি এবং গত ১৯ মার্চ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের এসআই বশির আহমেদ।
চার্জশিটের ৩৮ জন আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ ৩১ জনকে পলাতক দেখানোয় চার্জশিট যেদিন গৃহীত হবে সেদিনই খালেদা জিয়াসহ পলাতক ৩১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে বলে জানানো হয়। পরে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন গ্রহণ করেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, সালাউদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, চেয়ারপারসনের তথ্য উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়্যুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রবাড়ী এলাকার সাবেক এমপি সালাদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভির আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী, সেলিম ভূইয়া।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোর্ডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। যাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় নূর আলম নামে একজন মারা যান। ঘটনার পর পরিককল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৮ জন নেতাসহ যাত্রবাড়ীর ছাত্রদল শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম এজাহরে আসামির তালিকায় উল্লেখ করা না থাকলেও এজাহারের বক্তব্যের মধ্যে হুকুমদাতা হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়।