রবিবার এ হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ গ্রীন লাইন ওয়াটার বাসের বরিশালের ব্যবস্থাপকের। এ কারণে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে বলে দাবি তার।ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে চলাচলকারী গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস বন্ধের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) সুখময় সরকারের বিরুদ্ধে।
ওয়াটার বাসের বরিশালের ব্যবস্থাপক হাসান সরদার বাদশা ঢাকাটাইমসকে জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টায় ও বিকাল ৩টায় বরিশাল থেকে ওয়াটার বাস ছেড়ে যায় ঢাকার উদ্দেশে। একই সময় ঢাকা থেকেও বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ঈদ শেষ হওয়ায় বরিশাল থেকে ঢাকায় যাওয়ার টিকেটের চাহিদা অনেক। যাত্রী চাপ সামলানো যাচ্ছে না। টিকেট বিক্রি হয়েছে অনেক আগেই। এমন অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের এনডিসি ফোন করে বিকালের বাসে একটি টিকেট চান। তাকে নিচ তলায় সামনের দিকে একটি আসন ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। কিন্তু এনডিসি দোতলার একটি আসনের ব্যবস্থা করতে বলেন। তবে দোতলায় কোনো আসন খালি না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এনডিসি। প্রতিদিন ওয়াটার বাস ছাড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নামে পাঁচটি করে আসন বরাদ্দ রাখার কথা বলেন তিনি। কিন্তু যাত্রী চাপ থাকার কারণে ঈদ মৌসুমে কোটা রাখা সম্ভব নয় বলতেই উত্তেজিত হয়ে উঠেন এনডিসি। হুমকি দেন ওয়াটার বাস বন্ধ করে দেয়ার।
বাদশা আরও জানান, দুপুর আড়াই টার দিকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের একটি দল নিয়ে বরিশাল নৌবন্দরে আসেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগে তাদের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওয়াটার বাসে ধারণ ক্ষমতার (৬০০) অতিরিক্ত যাত্রী নেই দাবি করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে বাসের ভেতরে পরিদর্শনের অনুরোধ করা হলে তিনি উল্টো গ্রেপ্তারের হুমকি দেন।
তবে এনডিসি সুখময় সরকার ঢাকাটাইমসকে জানান, গ্রীন লাইন ওয়াটার বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়; এ বিষয়টি সবার জানা। তাই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইন মেনেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
তবে গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, প্রতিদিনই ঢাকাগামী প্রতিটি নৌযান অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। শুধু সুবিধাজনক স্থানে আসন না পাওয়ার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এবিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী বহনের প্রমাণ পাওয়ায় গ্রীন লাইনকে জরিমানা করা হয়েছে।’ একই দাবি নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সুখময় সরকারের। টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভের কথা তিনি অস্বীকার করেন।