সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ার জন্য চালকদের বেপরোয়া মনোভাবকে দায়ী করলেন। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পরিবহন শ্রমিক মালিকদের আন্তরিকভাবে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন এলাকার সিএনজি অটোরিকশার মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতি বছরই ঈদযাত্রায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায় সড়ক দুর্ঘটনা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের পরে রাজধানীতে ফেরার পথে গত চার দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে একশ জনেরও বেশি। অতিরিক্ত গতির কারণে চালক নিয়ন্ত্রণ হারানোয় প্রায় সব কটি দুর্ঘটনা ঘটে।
সড়ক-মহাসড়কে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি বেঁধে দেখা থাকলেও সড়কের সব এলাকায় দৃষ্টিগোচরে এই গতিসীমা লেখা না থাকাকে বরাবর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে গবেষকরা। সেই সঙ্গে চালকের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ট্রাফিক আইন মান্য করা, সড়কে বিভাজক তৈরি, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা ঠেকানো, মহাসড়কে ধীরগতির তিন চাকার গাড়ি বন্ধ, গাড়ির ফিটসেন নিশ্চিত হয়ে সড়কে নামার কথা বলে আসছেন তারা। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় বিশেষ উদ্যোগের পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকার কোনো কোনো এলাকায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার পর এসব সড়কে দুর্ঘটনা কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। কিন্তু সারাদেশে সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না কোনো মতেই।
চট্টগ্রামে সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘গেল কয়েক বছরে বাংলাদেশের সড়কগুলোর সবধরনের সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু চালকদের বেপরোয়া চালনার কারণে প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।’
সরকার বছরখানেক আগে মহাসড়ক থেকে তিন চাকার যানবাহন তুলে দিলেও এখন সেগুলো ফিরেছে আগের মতই। এ বিষয়েও কথা বলেন সড়কমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশের ২২ মহাসড়কে কোনোভাবেই ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশা চলতে দেয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক সড়কে নতুন এক উৎপাত হিসেবে দেখা দিয়েছে। এসব গাড়ি চলাচল বন্ধ করে বিকল্প পথ খুঁজতে হবে।’