তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘দেশের মানুষের দোরগোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে ‘কল্যাণী’ একটি সামাজিক আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন।
মন্ত্রী বলেছেন, দেশের মানুষের দোড়গোড়ায় তথ্যপ্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দিতে ‘কল্যাণী’ একটি সামাজিক আন্দোলন। প্রচার-প্রসারের মাধ্যমে এ আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে তিনি মিডিয়ারও সহায়তা কামনা করেন।
শনিবার নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ এক হাজার কল্যাণী সৃষ্টি থেকে শুরু হোক ১০ হাজার কল্যাণীর নবযাত্রা এই প্রতিপাদ্য নিয়ে কল্যাণীর লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের মানুষকে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা দিতে একদল দক্ষ নারী জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে কল্যাণীর এ কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৬টি জেলায় একযোগে উদ্বোধন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, সকল বাধা পেরিয়ে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তযুদ্ধকে এদেশের কুচক্রী কিছু মানুষ ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ফতোয়া দিয়ে দেশকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সে সেময় যেমন নিরস্ত্র মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিল। আজ তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে জঙ্গি হিসেবে পরিচিত করার অপপ্রয়াস চলছিল তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জননেত্রী সারাদেশে সবাইকে সচেতন করে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। যার ফলে দেশে আজ জঙ্গিবিরোধী আন্দোলনে মানুষ সোচ্চার।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, ডি-নেট এর প্রধান নির্বাহী অনন্য রায়হান, নাটোর জেলা পরিষদ প্রশাসক সাজেদুর রহমান খান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলিসহ অন্যরা।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নেতৃত্বে একটি র্যা লি নাটোর শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।