নগরীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ ঈদুল আজহার ছুটি শেষে। ট্রেন-বাসে তাই মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নেই। তাই স্বস্তিতেই ফিরছেন বাসযাত্রীরা। এদিকে পাহাড়তলী রেলস্টেশনে মহানগর গোধূলী লাইনচ্যুত হওয়ার কারণে অনেক ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এর ফলে প্রতিটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে ফিরতে পারছে না।
টানা ছুটির পর নগরীর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। মানুষের কোলাহলে সরব হয়ে উঠছে নগরী। রেলস্টেশন, বহদ্দারহাট বাসস্টেশন, অক্সিজেন, সিটি গেট, ১৫ নম্বর ঘাট, সদরঘাট, শাহ আমানত সেতু মোড়সহ নগরীর প্রতিটি প্রবেশ মুখ এখন সরগরম। স্রোতের মতো মানুষ ঢুকছে। ফলে কোথাও কোথাও সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গতকাল গিয়ে দেখা যায়, মহানগর প্রভাতী দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম স্টেশনে আসার কথা থাকলেও এসেছে ৫টা ৩৫ মিনিটে। সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ট্রেনের যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এছাড়া মহানগর গোধূলী, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, বিজয়, উদয়ন সবগুলো ট্রেনই নির্দিষ্ট সময়ে স্টেশনে পৌঁছতে পারেনি। অনেক ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা দেরিতে এসেছে। চাঁদপুর থেকে আসা মেঘনা এক্সপ্রেসের যাত্রী রফিকুল ইসলাম ও নাছিমা দম্পতি জানান, কষ্ট হলেও ঈদযাত্রার মতো কষ্ট নেই।
ঈদের নির্ধারিত ছুটির বাইরে ১১ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করায় এবার ঈদে ছয়দিনের টানা ছুটি মিলেছে। আনুষ্ঠানিক ছুটি শেষে গত বৃহস্পতিবার প্রথম কর্মদিবসেও চট্টগ্রাম ছিল ফাঁকা। সেদিন ঐচ্ছিক ছুটি কাটিয়ে সরকারি কর্মচারীদের অনেকেই পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম ফিরতে শুরু করেছেন গতকাল থেকে। আজ শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আগামীকাল রোববার থেকে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম পুরনো চেহারায় ফিরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের মাস্টার নাজিম উদ্দিন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফিরতি ট্রেনগুলোতে চাপ বেড়েছে। গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিটি ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় ছিল। গ্রামের বাড়িতে ঈদের আনন্দ শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
এদিকে সড়কপথে ফিরতি যাত্রার চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবহন বিভাগের কর্মকর্তারা। নগরীর কদমতলী বাস টার্মিনাল, গরিবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকা, কর্নেলহাট ও অলংকার মোড়ে বৃহস্পতিবারের তুলনায় গতকাল বেশি যাত্রী নিয়ে এসেছে বাসগুলো।
গতকাল দুপুরে এবং বিকালে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনেও ঈদফেরত মানুষের ভিড় দেখা গেছে। মেঘনা এক্সপ্রেক্স, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, উদয়ন, মহানগর প্রভাতী, সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেসে ছিল উপচে পড়া ভিড়।