হেলিকপ্টারটির মালিকপক্ষের কর্মকর্তারা উখিয়ায় সাগর মোহনায় যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে পাইলটের কথা অমান্য করে সেলফি তোলাকে দায়ী করেছেন । তাদের দাবি, নিহত শাহ আলম পাইলটের পাশের সিটেই বসেছিলেন। তিনি পাইলটের কথা না মেনে দরজা খুলে ছবি তুলতে থাকেন। যার এক পর্যায়ে হেলিকপ্টারটির ভেতরে বাতাস ঢুকে তা বিধ্বস্ত হয়।
হেলিকপ্টারটির পরিচালনাকারী সংস্থা মেঘনা গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেছেন, উইং কমান্ডার শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন নিহত শাহ আলম হেলিকপ্টারের দরজা খুলে ভিডিও করলে পাইলট তাকে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি পাইলটের কথা অমান্য করে দরজা খোলা রেখে ভিডিও করছিলেন।
এক পর্যায়ে সেলফি তোলা শুরু করেন। এতে হেলিকপ্টারের ভেতরে বাতাস প্রবেশ করে উঠা নামা শুরু হয়। এক সময় এটি বালিতে পড়ে যায়।
এদিকে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত বলেছেন, হেলিকপ্টারটি কক্সবাজারে ঢোকার সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। দুর্ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছু আমি অবগত নই।
এ ব্যাপারে খোরশেদ আলম জানান, হেলিকপ্টার নিয়ে কক্সবাজারের আকাশ সীমায় ঢোকার বিষয়টি ফ্যাক্স-বার্তা পাঠিয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি উদ্ধার তৎপরতা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাফর ও সিনিয়র কনসালটেন্ট হাসমী। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তারা ঢাকায় ফিরে গেছেন। গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাফর জানান, হেলিকপ্টারটির দরজা খোলা থাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে, কি কারণে দরজা খোলা ছিল বলা যাচ্ছে না।