উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে গাজীপুরের টঙ্গীতে প্যাকেজিং কারখানা টাম্পাকো ফয়েলস লিমিটেডে অগ্নিকা ষষ্ঠ দিনেও।
বৃহস্পতিবার টাম্পাকো কারখানা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনের মূল ফটকের সামনের ধসে পড়া অংশ সরিয়ে নিয়েছেন। মূল ভবনের সামনের অংশের ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। ভবনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি দাহ্য পদার্থের ড্রাম উদ্ধার করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীকে উদ্ধারকাজে সহায়তা করছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা। এ পর্যন্ত মৃতদেহের সংখ্যা ৩৫ এবং আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫। আর নিখোঁজের সংখ্যা ১০। ঢাকা মেডিকেলের মর্গে শনাক্তের জন্য রয়েছে ৬টি লাশ।
উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে দমকল বাহিনীর পরিচালক লে. কর্নেল শাকিল নেওয়াজ বলেন, ‘একজন নিখোঁজ ব্যক্তির দাবি থাকা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাব। দমকল বাহিনীর উপপরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) বদিউজ্জামানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ধসেপড়া কারখানার পাশেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রধান সহকারী (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা) এস এম সোলায়মান জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলামকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির অগ্রগতি সম্পর্কে আমি কিছুই জানাতে পারব না।
কারখানার মালিকসহ আটজনকে আসামি করে ইতোমধ্যে নিহত এক শ্রমিকের বাবা টঙ্গী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন ভক্ত জানান, মামলার তদন্ত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।