প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে ‘ফিফথ রিপ্লেনিসমেন্ট কনফারেন্স অব দ্য গ্লোবাল ফান্ড’ (জিএফ)-এ যোগদানের উদ্দেশ্যে ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর চারদিন কানাডার মন্ট্রিয়লে থাকবেন।
এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিয়লে ‘জিএফ’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী ১৬ সেপ্টেম্বর হায়াত রিজেন্সি মন্ট্রিয়লের এই রিপ্লেনিসমেন্ট সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পিতা কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়ার ট্রুডোকে দেয়া স্বাধীনতার সম্মাননা পদক হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিকেলে তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনের মিনিস্ট্রিয়াল প্লেজিং মোমেন্ট ও আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনায় অংশ নেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মন্ট্রিয়লে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আমন্ত্রণে আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।
১৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব তহবিলের নির্বাহী পরিচালক মার্ক দাইবালের সঙ্গে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিনে তিনি ‘রিমোভিং বেরিয়ার্স টু হেলথ থ্রো এম্পাওয়ারিং উইমেন অ্যান্ড গার্লস অ্যান্ড রিচিং দ্য মোস্ট মার্জিনালাইজড’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-১ এবং ‘এনগেজিং এন্ড মোবিলাইজিং ইয়ুথ টু মিট দ্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনা-২-এ অংশ নেবেন।
তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও কানাডার গভর্নর জেনারেল ডেভিড জনস্টনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠেয় আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজনে অংশ নেবেন। পরে তিনি সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে যোগদান করবেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বিশ্ব তহবিল ও গ্লোবাল সিটিজেন আয়োজিত কনসার্টও উপভোগ করবেন।
মন্ট্রিয়ল থেকে সিবিএনএ জানায়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চারদিন মন্ট্রিয়লে অবস্থান করলেও সরকারিভাবে প্রবাসীদের সঙ্গে কোন সভা কিংবা মত বিনিময় করবেন এমন কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই।
তবুও কানাডা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় হোটেল অমনীর বলরুমে এক নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করে পোস্টার-বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে উৎসবের আমেজে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে জাঁকজমক করে তোলার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু তা কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে প্রবাসীদের সংবর্ধনা আয়োজনের অনিশ্চয়তার খবরে। কারণ এ রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত কেউই নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী সত্যিই নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিবেন কিনা।
এদিকে কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, হতাশ হবার কারণ নেই, বিশাল আকারে সভা না হলেও কানাডায় বসবাসরত দলীয় নেতাকর্মী এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকদের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ অনুষ্ঠান হবে।